অনলাইন ক্লাস শুরু হই হই করেও হয়নাই, অফলাইন ক্লাস (মানে ক্লাসরুম ক্লাস) তো বন্ধই আছে কয়েকমাস ধরে, তো আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কি বে-লাইনে চলে যাচ্ছে – মজাচ্ছলে বা ক্ষোভেচ্ছলে এমন কথাবার্তা হতে দেখছি ফেসবুকে। উড়িয়ে দেয়ার বিষয় নয় কিন্তু। শরীরকে আটকে রাখা যত সহজ, মনকে শিকল পরানো তত নয়, বটে; তেমনই শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আমাদের যত তোড়জোড়, মনন-মনকে সপ্রাণ রাখার আয়োজনও তো চাই।
তবে গোড়াতেই ১টা গেরো আছে: আমাদের অনেক সরকারি (স্বায়ত্তশাসিত সহ) বিশ্ববিদ্যালয় কি সেশনজ্যাম নামক ‘অস্বাভাবিক’ রীতিকে ‘স্বাভাবিক’ বানিয়ে ফেলেনাই? তো ঐসব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজ্যামে এত বিপর্যস্ত, সময়মত ফাইনাল-পরীক্ষা-না-হওয়া কিংবা ফল-বের-না-হওয়ায় এত অভ্যস্ত যে করোনাকালে কয়েকমাস-ক্লাস-করতে-না-পারাকে তাঁরা মহাবিপর্যয় মনে নাও করতে পারেন, কিংবা ক্লাস না হওয়ায় সেশনজ্যাম তৈরি হয়ে ক্যারিয়র ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন পরিচিত-দুশ্চিন্তাকে তাঁরা অদ্ভুত না ভাবতেই পারেন।
তো সেই গেরোকে গোচরে রেখে বরং নতুন ‘অস্বাভাবিক’ অনলাইন ক্লাসের চিন্তা করা যেতে পারে। তাই, আপদকালীন জটিলতায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস নিয়ে বিভিন্ন আলাপের ধারাবাকিতায় এক্ষণে গোচরে আনতে চাই ক্লাস যাঁরা করবেন সেই শিক্ষার্থীদের। আলাপে আছে কতিপয় সীমাবদ্ধতা ও সমস্যার কথা, তবে আমি ২ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করব ‘চ্যালেঞ্জ’ শব্দটি: ‘সীমাবদ্ধতা’ ও ‘সমস্যা’-র মত এই শব্দটি ব্যক্তিকে অসহায় বা নাজেহাল নয় বরং লড়াইয়ে প্রস্তুত ১ সত্তা হিসেবে দেখে।
এক
শিক্ষার্থীদের ১টি বড় চ্যালেঞ্জ অভিজ্ঞতার অভাব। তবে, যেহেতু ধরে নেয়া যায় যে, সকল বা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অনলাইন বিহার ও ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আছে, সেহেতু তাঁদের কাছে অনলাইন ক্লাসকে খুব বেশি আপদ মনে না হওয়ার কথা। মাইণ্ডসেট-এর যে সংকট শিক্ষকদের, শিক্ষার্থীরাও তার বাইরে নন। ভিন্নরকম ক্লাস, ভিন্নরকম কাজ, ভিন্নরকম পরীক্ষা – অপ্রস্তুত লাগবে বটে কিন্তু যে-কোনো ‘নতুন’-ই তো অ্যাডভেঞ্চার। কলেজ জীবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মানিয়ে নিয়েছেন যে শিক্ষার্থী, তিনি বোধ করি অনলাইন ক্লাসেও মানিয়ে নিতে পারবেন।
দুই
প্রযুক্তিগত দক্ষতা-র ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কম সমস্যা হওয়ার কথা। তারপরও, ফেসবুক বা য়ুটিউবে দেীড়ঝাঁপ থাকলেও, কতজনই বা চেনেন গুগল মীট বা গুগল ক্লাসরুম! তাই টেকনিকল বিপাকে শিক্ষার্থীরা পড়বেন। তবে, যেহেতু শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের ‘হোস্ট’ হওয়ার কথা নয়, সেহেতু তাঁদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে শুরুর ক্লাসগুলোতে অংশ নেয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কিংবা কোনো বিশেষায়িত ফেসবুক পেজ-এ অনলাইন ক্লাসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নির্দেশনা থাকলে, তা কাজের হয়। আশা করা যায় যে, ১ম ক্লাস থেকে প্রাথমিক টেকনিকল বিষয়গুলো তাঁদের আয়ত্তে আসতে শুরু করবে।
তিন
আমাদের শিক্ষার্থীদের অফিশিয়ল ইমেইল আইডি থাকতে পারেনা? যদি পারে, তো গোড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই কাজটি করে ফেলুক। প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল শিক্ষার্থীদের অন্য অনেক সুবিধা দেবে, যেমন গিটহাব কিংবা অ্যামাজন স্টুডেন্ট প্যাক ফ্রিতে পাওয়া থেকে ওয়েব হোস্টিঙের সুবিধা তক।
চার
শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি বড় চ্যালেঞ্জ-এর ২য়টি হল: ইন্টারনেট সংযোগ। শিক্ষক যেহেতু ‘হোস্ট’, তাই শিক্ষকের ইন্টারনেট সংযোগ বাধাপ্রাপ্ত হলে ক্লাস-ই বাতিল হয়ে যাবে। সমস্যা শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে তাঁদের যাঁরা এই করোনাকালে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছেন; আমাদের ১ ছেলে তো ছিটমহলে থাকেন। তার ওপর আছে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত। বিদ্যুৎ-সংকটও আছে কোথাও। ইন্টারনেট কানেকশনের এইসব সমস্যার দায় শিক্ষার্থীর নয়। তাই ইন্টারনেট ও বৈদ্যুতিক সংযোগের সমস্যাকে আমলে নিয়ে অনলাইন ক্লাসের নিয়ম-নীতি তৈরি করা জরুরি। যেমন, অ্যাটেনডেন্স বাধ্যতামূলক না করা, এবং অনলাইন ক্লাসের লেকচার (বাধ্যতামূলকভাবে) রেকর্ড করে রাখা যেন শিক্ষার্থীরা তা পরে (গুগল ড্রাইভ, য়ুটিউব, ফেসবুক ইত্যাদি থেকে) ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
পাঁচ
শিক্ষার্থীদের জন্য ১টি বড় চ্যালেঞ্জ হল: অর্থনৈতিক চাপ। একেতো অনলাইন ক্লাসের জন্য লাগে যন্ত্র: স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ বা ওয়েবক্যামসহ কম্পিউটার – আমাদের সকল শিক্ষার্থীর কি তা আছে? না থাকলে, তাঁকে কি অনলাইন ক্লাসের জন্য নতুন মোবাইল সেট বা ল্যাপটপ কিনতে হবে? সেটা কিভাবে সম্ভব? একইরকম প্রয়োজন GB কেনা। সেজন্য ১টি অনলাইন ক্লাসে কত MB খরচ হয় তা গণনা করে নেয়া জরুরি, তবে হিসেব ভিন্ন হতে পারে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ভেদে (জুম নাকি মীট), ডিভাইস ভেদে (আইফোন নাকি স্যামসাং), অপারেটর ভেদে (গ্রামীণ নাকি রবি), অনলাইন ক্লাসের শিক্ষার্থী-সংখ্যা ভেদে (বেশি শিক্ষার্থী মানে বেশি ক্যামেরা); এমনকি শিক্ষার্থী কোন্ জেলায় আছেন এবং সেখানে কোন্ অপারেটরের ইন্টারনেট চার্জ কত তাও কিন্তু ব্যাপার।
তবু, মোটের ওপর যদি ধরে নেয়া যায় যে, ১ টি ১-ঘন্টার অনলাইন ক্লাসে, মাইক আর ক্যামেরা চালু রাখলে, মোবাইলে ২০০ থেকে ৩০০ MB খরচ হয়, ল্যাপটপে কিছু বেশি (৩০০ MB থেকে ১ GB হয়ত), তাহলে সেই বাবদ থরচের হিসেব করে নেয়া হোক; যেমন, সপ্তাহ প্রতি যদি ১০টি ক্লাস হয়, তাহলে ১ মাসে ক্লাসের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০টির মত; তো GB কেনায় কত খরচ হবে? মূল প্রশ্ন হল: এই খরচ বহন করতে আমাদের কতজন শিক্ষার্থী সক্ষম?
করোনাকালে ১টি অনানুষ্ঠানিক আর্থিক-সহায়তা প্রজেক্টে জড়িত আছি বলে জানি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছেন যাঁরা বিভিন্ন কারণে – যেমন, ট্যুশনি না থাকা, মা-বাবার চাকরি থেকে ছাঁটাই-হওয়া, পারিবারিক ব্যবসা বন্ধ থাকা – এই করোনাকালে বিষম আর্থিক-অনটনে আছেন, এতটাই যে দুপুরের রুটি বা সেহরির ভাত ধার করে কিনতে হয়েছে। এমন এক অবস্থায়, অনলাইন ক্লাস অনেকের কাছে ‘তামাশা’ বা `নিষ্ঠুর’ মনে হতে পারে। কেবল আর্থিক অনটনের কারণে যদি ১জন শিক্ষার্থীও অনলাইন ক্লাস করতে না পারেন, তাহলে কি তা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পিরিটের সাথে যায়? … এই সমস্যা উত্তরণে যা যা করা যেতে পারে তার মধ্যে আছে:
- অনলাইন ক্লাসগুলোকে ঐচ্ছিক ও ‘আধা-আনুষ্ঠানিক’ করা যেতে পারে। ক্লাসগুলোর উদ্দেশ্য হবে কাজ এগিয়ে রাখা, গুছিয়ে রাখা, কিন্তু ‘সম্পন্ন’ করা নয়; সেক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যায় অনলাইন ক্লাস না করতে পারার কারণে কোনো শিক্ষার্থীর বিব্রতবোধ করা বা মার্জিনালাইজ হয়ে যাওয়ার আশংকা কমে। আমরা বোধহয় শুনেছি যে, কেরালার ১ স্কুলের ১ দলিত শিক্ষার্থী দারিদ্র্যর কারণে অনলাইন ক্লাস করতে না পারায় আত্মহত্যা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এতটা অপরিণত আচরণ আশা করিনা, তারপরেও কাউকে কেবল পারিবারিক সম্পদ কিংবা আর্থিক অনটনের কারণে বিপাকে ফেলা শিক্ষা নয়, বিদ্যা-ও নয়।
যদি অনলাইন ক্লাস ‘আনুষ্ঠানিক’ বা ‘বাধ্যতামূলক’ হিসেবে গণ্য হয়, তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নামে, কিংবা যাঁরা আবেদন করবেন তাঁদের জন্য, অনলাইন ক্লাসে যোগদানের নিমিত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করা যাক। বৃত্তির অংক কত হবে তা নির্ধারিত হোক ১ মাসে মোটামুটি কত GB খরচ হতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা গোচরে রেখে। - মোবাইল সেট বিক্রয়কারী এবং ইন্টারেনেট সার্ভিস ও ডেটা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কোনো চুক্তি বা বিশেষ-প্যাকেজ-পরিকল্পনা করা যেতে পারে যার ভিত্তিতে অনলাইন ক্লাসের জন্য মূল্যছাড় পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে কিছু প্যাকেজ নাকি পাওয়া যাচ্ছে যার আওতায় একবারে ১০ বা ৩০ GB কিনলে ক্লাস প্রতি (২৫০ MB ধরে) খরচ পড়ে ৭-৮ টাকা।
শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাসের অধিকাংশ সময় সাউণ্ড আর ক্যাম অফ করে রাখেন তাতে নিজের MB খরচ কমে, অন্যদের খরচও কমে (যেহেতু ভিডিও স্ট্রিমিং কমছে)।
ছয়
অনলাইন/সাইবার আইন, নিরাপত্তা ও শিষ্টাচার অনলাইন ক্লাসের সাথে সংশ্লিষ্ট, তাই শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে ওয়াকিবহাল। যেমন, অনলাইন ক্লাসে ঢোকার অনুমতির জন্য তাঁর আনুষ্ঠানিক নাম ব্যবহার করা উচিৎ হবে, “Leader of Thrones” বা “গেন্দা ফুল” জাতীয় নাম নয়। কোনো শিক্ষার্থী তাঁর ভাইবোন সমেত স্ক্রিনে চলে এলেন কিনা কিংবা তাঁর অভিভাবক হঠাৎ শিক্ষকের সাথে কুশলাদি বিনিময় শুরু করলেন কিনা, এসব বিষয় ব্যবস্থাপনায় যেমন নিজের বিবেচনা জরুরি তেমন জরুরি নির্দেশনা থাকা। শিক্ষার্থীরা এসব নিয়ম-নীতি বিষয়ে জানলেন কিনা তা যাচাইয়ের জন্য MCQ পদ্ধতিতে পরীক্ষাও নেয়া যেতে পারে। অনলাইন ক্লাসেও এ নিয়ে আলাপ চলুক। তাঁরাও লেনদেন করুক তাঁদের ভাবনা।
সাত
শারীরিক প্রতিবন্ধ-র বিষয়টি গোচরে রাখা চাই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের ওপর চটজলদি জরিপ করে নেয়া যেতে পারে।
আট
সামাজিক কোনো বাধা থাকতে পারে কি? সকল শিক্ষার্থীর পরিবার তাদের ছেলেটিকে বা মেয়েটিকে ‘অনলাইন’-এ ক্লাস করতে দেবে তো? এ ব্যাপারেও চটজলদি জরিপ, প্রয়োজনে সচেতনতামূলক প্রচারণার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
নয়
অনেক শিক্ষার্থী আছেন যাঁরা বাড়িতে তেমন বইপত্র নিয়ে যেতে পারেননি। হয়ত কোনো কোনো কোর্সের কোনো বই-ই তাঁর কাছে নেই। তাহলে? উপায় আছে। যেমন: ১ম অনলাইন ক্লাসে শিক্ষক জেনে নেবেন শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতার কথা, এবং সেভাবে ক্লাসের পরিকল্পনা করবেন; এর মধ্যে পড়ে প্রয়োজনীয় পিডিএফ-এর জোগান দেয়া কিংবা অনলাইনে পাওয়া যায় এমন স্টাডি-মেটেরিয়ল ব্যবহার করা। আপদকালে দরকার উদ্ভাবনী শক্তি। শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও জানা যাক তাঁরা কিভাবে মোকাবিলা করেন সীমাবদ্ধতার।
দশ
কিছু শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে, বাড়িতে থেকে ক্লাস করা কঠিন, কারণ বাড়িতে বিভিন্ন কাজের চাপ থাকে, কিংবা বাড়িতে নিরিবিলি বা খালি জায়গা নেই যেখানে বসে ক্লাস করা যেতে পারে। হয়ত ছুতো, তারপরও উড়িয়ে দেয়ার বিষয় নয়। বরং বিষয়টিকে গোচরে নিয়ে সমাধান ভাবা যেতে পারে। যেমন, শিক্ষার্থী তাঁর মাইক এবং ক্যামেরা ২টোই অফ করে রাখতে পারেন। তাতে তো খরচ-ও বাঁচে।
এগারো
কোনো কোনো শিক্ষার্থী বলছেন, তাঁরা এক ধরণের অস্বস্তিতে আছেন – এত মৃত্যু, এত দুশ্চিন্তা, এত বন্দিত্ব – এমন অবস্থায় অনলাইন ক্লাস যেন নতুন ‘আপদ’! তা ক্লাসকে ‘আপদ’ ভাবেন এমন শিক্ষার্থী তো কম নেই, কিন্তু তাঁরাও তো ক্লাসরুমে ক্লাস করেন! আর যাঁরা ক্লাস করেন না, তাঁরা কি অকস্মাৎ অনলাইন ক্লাস নিয়েও খুব উদ্বিগ্ন, খুব উৎসাহী? … বরং যে-কারণে এই করোনাকালে অনলাইন ক্লাস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে তা ঐ ট্রমাই, তবে তা ট্রমা ম্যানেজমেন্টে: অনলাইন ক্লাস বরং তরুণ শিক্ষার্থীদের কর্মব্যস্ত রাখতে পারে, অনলাইন ক্লাস বরং ‘ঘরবন্দি’ একাকীত্বর কালে শিক্ষক আর অনেক অনেক সহপাঠীদের সাথে সুস্থ যোগাযোগের জায়গা হয়ে উঠতে পারে, অনলাইন ক্লাস বরং দমবন্ধ-করা-উদ্বেগে প্রাণময়তার উচ্ছ্বাস জাগাতে পারে, অনলাইন ক্লাস বরং নতুন নতুন চিন্তা ও কাজের জোগান দিতে পারে।
দাঁড়িয়ে আছে বলেই কি খুব থেমে থাকে গাছ? তার ভিতরে-বাহিরে কত কত চলাচল – নিচে বাড়াচ্ছে শেকড়, ওপরে বাড়াচ্ছে ডাল, আলো থেকে নিচ্ছে খাবার, রস ছাড়ছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে, ফোটাচ্ছে ফুল, ফাটাচ্ছে ফল … শিক্ষা মানে তো নিছক বোধগম্য হওয়ানো নয়, বোধের বিহার-ও।
পড়তে বড় লাগে, ঠিক, কিন্তু দূরে থেকে জুড়ে থাকতেও তো ভালো লাগার কথা …
অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আর্টিকেলটি নিয়ে মন্তব্য করুন