ইহকালে তিস্তা নদী অন্যায়ভাবে আটকে রাখার দায়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিঙ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরকালে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। তিনজনই সটান নিজেদের দায় অস্বীকার করলেন এবং বললেন, বাকি দু’জনের কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে ন্যায্য সমঝোতায় পৌঁছা যায়নি। তাহলে পরীক্ষা হয়ে যাক, কার দায় কতটুকু। তিনজনকে স্বর্গীয় তিস্তানদীর পাড়ে দাঁড় করিয়ে বলা হল, আপনারা হেঁটে পার হোন। যার দায় যতটুকু, তিনি ততটুকু পানিতে ডুববেন।
প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পালা। মনে মনে তিনি দুর্বল থাকলেও ওপরে বুঝতে দিলেন না। চপ্পল হাতে নিয়ে তরতর করে নদীতে নেমে গেলেন এবং ওপারে গিয়ে খোদ স্বর্গীয় সিস্টেমের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তোলা যায়, যেতে যেতে ভাবতে লাগলেন। ওপারে গিয়ে দেখলেন, তার কোমর পর্যন্ত ভিজেছে। মমতা পেছনে ফিরে দেখলেন, পবন চামলিঙ হেঁটে আসছেন; কিন্তু তার মাত্র হাঁটু পর্যন্ত পানির নিচে। ঠিকই তো, কয়েকটা ড্যাম তৈরী করা ছাড়া বেচারার আর কী দোষ? মমতা মনে মনে ভাবলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কোথায় গেলেন! আরও পেছনে তাকিয়ে মমতা দেখেন, ওপার শূন্য। মাঝনদীতে পৌঁছে যাওয়া পবনের কাছে হাঁক দিয়ে জানতে চান- ‘আরেকজন কোথায়? তার কি পরীক্ষা লাগবে না! কেন্দ্রীয় সরকার বলে কি মাথা কিনে নিয়েছে?’
মাঝনদীতে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে পবন শরীরের ভারসাম্য সামলাতে সামলাতে চিৎকার করে বললেন- ‘না, না, দিদি। স্বর্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভেদ নেই, সবাই সমান। মোদীজি তিস্তায় সম্পূর্ণ ডুবে গেছেন। আমি তার কাঁধের ওপর দাঁড়িয়েছি বলেই হাঁটু পর্যন্ত ভিজেছে।’
আর্টিকেলটি নিয়ে মন্তব্য করুন