প্রাচ্যনিউজ
  • বাংলাদেশ
  • প্রতিবেশি
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • রাজনীতি
  • মতামত
  • বিনোদন
  • অন্যান্য
    • আন্তর্জাতিক
    • আমেরিকা
    • আফ্রিকা
    • রাশিয়া
    • ইউরোপ
    • অষ্ট্রেলিয়া
    • ভারত
    • আফগানিস্তান
    • নেপাল
    • ভুটান
    • মায়ানমার
    • ল্যাটিন আমেরিকা
    • দূরপ্রাচ্য
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • দেশের পণ্য
    • খেলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • দেশীয় খেলা
    • পর্যটন
    • পার্বত্য বাংলা
    • দেশের পণ্য
    • প্রাকৃতিক সম্পদ
    • শিল্প-অর্থনীতি
    • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • প্রবাসী
    • লাইফষ্টাইল
    • ক্যাম্পাস
    • প্রজন্ম
    • সাহিত্য
    • গল্প
    • কবিতা
    • নাটক ও চলচ্চিত্র
    • ধর্ম ও জীবন
    • ভিডিও
ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখান
ঢাকা     রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২, ১৯ আষাঢ় ১৪২৯, ৩ জিলহজ ১৪৪৩
বেটা ভার্সন
প্রাচ্যনিউজ
  • বাংলাদেশ
  • প্রতিবেশি
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • রাজনীতি
  • মতামত
  • বিনোদন
  • অন্যান্য
    • আন্তর্জাতিক
    • আমেরিকা
    • আফ্রিকা
    • রাশিয়া
    • ইউরোপ
    • অষ্ট্রেলিয়া
    • ভারত
    • আফগানিস্তান
    • নেপাল
    • ভুটান
    • মায়ানমার
    • ল্যাটিন আমেরিকা
    • দূরপ্রাচ্য
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • দেশের পণ্য
    • খেলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • দেশীয় খেলা
    • পর্যটন
    • পার্বত্য বাংলা
    • দেশের পণ্য
    • প্রাকৃতিক সম্পদ
    • শিল্প-অর্থনীতি
    • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • প্রবাসী
    • লাইফষ্টাইল
    • ক্যাম্পাস
    • প্রজন্ম
    • সাহিত্য
    • গল্প
    • কবিতা
    • নাটক ও চলচ্চিত্র
    • ধর্ম ও জীবন
    • ভিডিও
ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখান
প্রাচ্যনিউজ

নিউ মিডিয়া উপাখ্যান: যা জানতে হবে

সাঈদ ইবরাহীম রিফাত

অক্টোবর ১৮, ২০২১
বিভাগ:  শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, সম্পাদকীয়
নিউ মিডিয়া উপাখ্যান: যা জানতে হবে

আমার ঘরে পত্রিকা আমি রাখি না। তবে সকালে উঠে ফেসবুক নিউজ ফিডটা চেক করতে কখনো ভুলি না। নিউজ ফিড চেক করতেই দেখি একজন একটা নিউজ শেয়ার দিয়েছে বা ফেসবুকে স্ট্যাটাসে নিউজের হেডলাইন পোস্ট করেছে, এতদিনের জন্য ছুটি বাড়ানো হয়েছে বা জামিন পেয়েছেন অমুক নায়িকা ইত্যাদি ইত্যাদি। পোস্টটা পড়ি। সত্যি বলতে কি, বেশিরভাগ সময়েই অবচেতন মনে পোস্টের বিষয়বস্তু বিশ্বাসও করে ফেলি। হ্যাঁ, এটা শুধু আমার কথাই বলছি না। বর্তমানে এমনটাই ট্রেন্ড। এবং এই যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিউ মিডিয়ার জায়গা করে নেওয়াটা, এটাই এখন আমাদের অন্যতম প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউ মিডিয়া বলতে সহজ কথায় যা বুঝি তা হচ্ছে স্বীকৃত সংবাদমাধ্যম এর গড়পরতা যে কনটেন্ট তার ডিজিটাইজড ভার্সন। তবে নিউ মিডিয়ার বিস্তৃতি এইটুকুই নয়, বরং এই ধারণাটি আরও ব্যাপক ও একটু জটিল। সেক্ষেত্রে ওল্ড মিডিয়া বুঝতে তুলনামূলকভাবে একটু সহজ (এক কথায় টেলিভিশন, রেডিও, নিউজপেপার) ঠিক একই জিনিস, তবে তা কাগুজে, পুরোনো প্রযুক্তির এবং মান্ধাতার আমলের। ধরেন, আপনি আগে ডেইলি স্টার পত্রিকা বাসায় রাখতেন। কাগজ জমতো। সহজ কথায় ওল্ড মিডিয়া। এখন মোবাইল ফোনে বা ল্যাপটপে আপনি সেই পত্রিকাই পড়ছেন। কাগজের উপযোগিতা কমে গেছে, এখন আপনি নেটে মোটামুটি ওই একই পয়সা বা আরও কম খরচ করে ভার্চুয়ালি পেপার পড়েন। যাকে এখন আমরা নিউ মিডিয়া বলছি। শুধু পেপার না,ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যোগাযোগ ভিত্তিক যা কিছু করছেন সব নিউ মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা আসলে প্রথমেই বলতে হয় ফেসবুকের কথা। তারপরে আরও আছে ইউটিউব, হোয়্যাটসএ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম, লিংকডইন ইত্যাদি। টুইটারের ব্যবহারটা দেশে এখনও বেশ কম। কাজেই এখনও তার নিউ মিডিয়া হিসেবে ভূমিকা খুব বেশি দেখা যায় না। কিন্তু ফেসবুক, হোয়্যাটসএ্যাপ,ইউটিউব এবং ইন্সটাগ্রাম এখন অবধারিতভাবে এই তালিকার শীর্ষে থাকবে এ নিয়ে কারও দ্বিমত হবার কথা নয়। আমি আমার প্রসঙ্গ যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়ে গেলাম এইজন্য যে নিউ মিডিয়ার অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।

নিউ মিডিয়ার মাধ্যমে মূলত আমাদের কাছে তথ্যের অভিগম্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ওল্ড মিডিয়ার উপর নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে ব্যাপকভাবে। ওল্ড মিডিয়া(রেডিও, টেলিভিশন, নিউজপেপার) ছেড়ে মানুষ ঝুঁকছে নিউ মিডিয়ার দিকে। কারণটা কী আসলে?

মোটাদাগে যদি একদম নির্দিষ্ট করে বলতে চাই, কারণটা হচ্ছে নিউ মিডিয়ার সহজলভ্যতা। আপনি যেকোন তথ্য খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ট্রাস্টেড/থার্ড পার্টি সোর্স থেকে পেয়ে যাচ্ছেন, এই ব্যাপারটি অত্যন্ত সহজ এবং সাধারণ একটি বিষয়। একটা ভালো স্মার্টফোন আপনার হাতে থাকলেই নিউ মিডিয়ার প্রায় সমস্ত সুবিধাই আপনি ভোগ করতে পারছেন,পাশাপাশি নিউ মিডিয়াতে একটি বড় সুবিধা হলো এখানে যেকোন কিছুই অনেক বেশি ইন্টার‍্যাক্টিভ, চাইলেই আপনি কনটেন্ট যে শেয়ার করেছে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং নিজের মতামত শেয়ার করতে পারবেন।

এবার সামান্য টেকনিক্যাল সাইডে যাই, নিউ মিডিয়া থেকে আমরা যে তথ্যগুলো পেয়ে থাকি সেগুলো মূলত কোয়ালিটেটিভ ইনফরমেশনের বাইনারী রূপ (০, ১ কে ব্যবহার করে একটি ভাষা)। এই বাইনারী কোড আবার কনভার্টেড হয় মূল কাঙ্ক্ষিত তথ্যে। তারপর, আমরা ডিজিটাল ডিভাইসের(স্মার্টফোন,ল্যাপটপ,বায়োমেট্রিক ডিভাইস) মাধ্যমে সেই তথ্য আমাদের হাতে পাচ্ছি। কাগজে বা রেডিও, টেলিভিশনে আমরা এমনভাবে তথ্য পেতাম না। রেডিও-টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়ার প্রযুক্তিকে আমরা এনালগ প্রযুক্তি বলতে পারি।

নিউ মিডিয়া কনসেপ্ট ১৯৫০ সালে শুরু হলেও ওল্ড মিডিয়ার আধিপত্য সবসময়ই ছিলো শীর্ষে। তবে ১৯৯০ এর পর থেকে দৃশ্যপট অনেকখানিই বদলে গেছে, ওল্ড মিডিয়া এখনও থাকলেও নিউ মিডিয়ার আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এই আধিপত্য বিস্তারের জন্য মূলত নিউ মিডিয়ার যে বৈশিষ্ট্যগুলো সবচেয়ে বেশি নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে তা এখানে উল্লেখ্য করা দরকার বলে মনে করছি-

 

নিউ মিডিয়া ‘ডিজিটাইজড’

নিউ মিডিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ডিজিটাইজেশন। এর প্রতিটি কনটেন্ট ডিজিটাইজড যা আমরা আগে জেনেছি। একটা কনটেন্ট ডিজিটাইজড না এনালগড এই ব্যাপারটাই মূলত নির্ধারণ করে কনটেন্টটি কি নিউ মিডিয়া নাকি ওল্ড মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আর এক্ষেত্রে বাইনারির ব্যাপারটি অত্যন্ত বেসিক একটি বিষয় যা কোন কনটেন্ট ডিজিটাইজড হওয়ার পূর্বশর্ত। বর্তমানে যেহেতু এনালগ প্রযুক্তি অনেক মান্ধাতার আমলের হয়ে যাচ্ছে এবং যুগের সাথে সবকিছু আপগ্রেডেশন আসছে, পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বাড়ছে, তাই বলা যায় আমরা একটা ফ্লো এর মধ্যে আছি যে ফ্লো মূলত আমাদের অবচেতন মনে ডিজিটাল ডিভাইস ও ডিজিটাইজড কনটেন্ট ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছে।

 

নিউ মিডিয়া ‘ইন্টার‍্যাক্টিভ’

এই বিষয়টিও আগে কিছুটা বলেছি, নিউ মিডিয়ার এটিও অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। নিউ মিডিয়া আমাদের মতামত প্রদান এবং একজন আরেকজনের সাথে তথ্যের আদান প্রদান বিষয়টিকে আরেকটু নতুন মাত্রা দান করেছে। যে কারণে আগে হয়তো আপনি প্রথম আলোর একটা নিউজ পড়ে কোন মতামত জানাতে পারতেন না, কিন্তু এখন অনলাইনে প্রথম আলো পড়ার সময় নিউজ পড়া বাদে সেখানে নিজের মতামতও লেখে দিতে পারছেন। এটি নিউ মিডিয়ার অভাবনীয় একটি বাস্তবতা এবং আধিপত্য বিস্তারের উল্লেখযোগ্য একটি কারণ।

 

নিউ মিডিয়া ‘হাইপারটেক্সচুয়াল’

হাইপারটেক্সচুয়াল শব্দটির বাংলা ঠিক কি হবে জানা নেই, তবে সহজ কথায় এর মানে দাঁড়ায় আপনি যে টেক্সটটি পাঠাচ্ছেন বা পাঠাবেন, তার মধ্যে অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক থাকবে এবং এর মাধ্যমে যাকে টেক্সটটি পাঠাচ্ছেন, সে ওই ওয়েবসাইটিতে প্রবেশ করতে পারবে। এখন যদিও হাইপারটেক্সচুয়াল ব্যাপারটির ক্ষেত্রে ফেসবুক, হোয়্যাটস এ্যাপ অনেক কড়াকড়ি আরোপ করছে, তবে নিঃসন্দেহে তথ্য চালাচালি বা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটির একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব আমরা খেয়াল করেছি।

 

নিউ মিডিয়া ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড নেটওয়ার্ক’

সারা বিশ্বজুড়ে নিউ মিডিয়া বিস্তৃত। যোগাযোগ চলে গেছে অন্য একটি মাত্রায়, যা কিছু দশক আগেও অবাস্তব কল্পনার মতো শোনাতো। নিউ মিডিয়ার বিশ্বব্যাপী এই বিস্তৃতি এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং এর পাশাপাশি যে ইন্ট্যারাক্টিভ এবিলিটি নিউ মিডিয়ার আছে তাই একে বর্তমান বিশ্বে অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে ওল্ড মিডিয়ার তুলনায়।

 

নিউ মিডিয়া আসলে ‘ভার্চুয়াল জগত’

এই বিষয়টি নিয়ে তর্কের যথেষ্ট অবকাশ থাকলেও নিউ মিডিয়া যে ভার্চুয়াল জগত তা অস্বীকার করবার উপায় নেই। ভার্চুয়াল জগতে বাস্তব জগতের কাজগুলো করা সম্ভব কিন্তু তা বাস্তব কাজের সম্পূর্ণ পরিপূরক হতে পারে না। যেমন, একটা সহজ উদাহরণ দেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেলো আমার কোন বন্ধু খুব সক্রিয় এবং মিশুক। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে সে একজন বিচ্ছিন্ন মানুষ যার সামাজিকভাবে মানুষের সাথে তেমন যোগাযোগ নেই(ইন্ট্রোভার্ট)। এক্ষেত্রে সে সামাজিকীকরণ থেকে যে বঞ্চিত হচ্ছে ঠিক তা নয়, বরং ভার্চুয়ালি সে সামাজিকীকরণের পুরো সুবিধাটাই পাচ্ছে কিন্তু বাস্তব জীবনে সে ইন্ট্রোভার্ট বা আইসোলেটেড, এই বিষয়টি কিন্তু অপরিবর্তিত থাকছে। এরকম আরও উদাহরণ আসতে পারে, যেমন অনেককে দেখা যায় ভার্চুয়াল জগতে একরকম ব্যক্তিত্ব তৈরী করতে কিন্তু বাস্তবিকভাবে ওইরকম ব্যক্তিত্ব ধারণ করে না। যোগাযোগের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যেতে পারে। এসব কিছুই কিন্তু ভার্চুয়াল এবং রিয়েলিটির মধ্যে অনেক বড় তফাত তৈরী করে দিয়েছে।

 

নিউ মিডিয়া মাঝে মাঝে সিমুলেশন অনুপ্রাণিত

নিউ মিডিয়ার কিছু নতুন গ্যাজেটের ব্যাপারে আমরা কমবেশি সবাই জানি। সিমুলেশনের ব্যাপারটি আনলে সবার আগেই দুটি বিষয় আসে, একটি হলো ভিডিও গেমস, আরেকটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। যদিও সিমুলেশন বেজড নিউ মিডিয়া এখনও সবার হাতে হাতে পৌঁছায়নি, তবে তা সামনের দশকের মধ্যেই অনেক বেশি সহজলভ্য হয়ে যাবে। এই ব্যাপারটি তখন নিউ মিডিয়া কে আরও বেশি অপ্রতিদ্বন্দী করে তুলবে ওল্ড মিডিয়ার তুলনায়।

কিন্তু নিউ মিডিয়ার উপযোগিতার পাশাপাশি আরও অনেক বিষয় আছে। সেগুলো মাথায় রাখাটা খুবই জরুরী।

প্রথমত, নিউ মিডিয়ার অন্তর্গত সবকিছুই যে প্রচলিত অর্থে কোনরকম প্রতিষ্ঠিত বা স্বীকৃত তথ্য জানানোর সোর্স এমনটি নয়। কাজেই নির্ভরযোগ্য সূত্র না হলে আপনি যে তথ্যটি এখান থেকে গ্রহণ  করছেন তার ফ্যাক্ট চেকিং খুব অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে এখানে।

দ্বিতীয়ত, নিউ মিডিয়া গুজবকে উৎসাহিত করে। স্বীকৃত গণমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি এখন অনেক ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল গড়ে উঠছে যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠক আকৃষ্ট করা। ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আমরা দেখি বিভ্রান্তিকর থাম্বনেইল ইউজ করতে, অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর ক্ষেত্রে দেখি চটকদার শিরোনাম দিয়ে সাধারণ বিষয়কে তুলে ধরতে। আর ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে গুজব তো সাধারণ একটি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে, এথিক্সের বিষয়টি এখানে কোনভাবেই কাজ করে না যা নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

তৃতীয়ত, সাইবার ক্রাইম। নিউ মিডিয়া আবির্ভাবের পর অপরাধ জগতেও একটি নতুন শাখার আগমন ঘটেছে যাকে সাইবার ক্রাইম বলছি। অনলাইনে কটূক্তি করা, যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা প্রচার করা, গালিগালাজ করা ইত্যাদি গড়পরতা মানের কিন্তু অনেক গভীর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করা সাইবার ক্রাইম। বড় বড় সাইবার ক্রাইমের মধ্যে অনলাইনে কাওকে জীবন নাশের হুমকি দেওয়া, হ্যাকিং, অনলাইন এবিউজ, কারও ক্ষেত্রে মিথ্যে অনলাইন এবিউজের অভিযোগ করা, মিথ্যে স্ক্রিনশট বানানোর চেষ্টা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, অবসিনিটি, একাউন্ট ক্লোন করা ইত্যাদি বিষয় আসবে।

সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে যেহেতু জগতটা ভার্চুয়াল, বাস্তব নয় তাই এতে ভিক্টিমের সতর্ক থাকতে হবে। ফেসবুক সহ প্রায় প্রতিটি যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লক,রিপোর্ট সিস্টেম আছে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। জীবন নাশের হুমকি পেলে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট অনুযায়ী কেস করা যেতে পারে। অনলাইন এবিউজের ক্ষেত্রেও তা করা যেতে পারে। আর কেউ যদি মিথ্যে অভিযোগ আরোপ করে এক্ষেত্রেও আইডি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে প্রকৃত স্ক্রিনশটের জন্য ফেসবুকের কাছে আবেদন করা যেতে পারে।

তবে যতই নেতিবাচক বিষয় থাকুক; অস্বীকার করার উপায় নেই, নিউ মিডিয়া এখন বেশ তেঁড়েফুড়ে এগিয়ে চলেছে এবং সামনে এগিয়ে যাবে। আপনি এখন একে কীভাবে ব্যবহার করবেন পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার উপর।

 

লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ShareTweetSendSend
পরের সংবাদ
ধর্মের নামে সন্ত্রাস মোকাবেলায় ৫ পদক্ষেপ

ধর্মের নামে সন্ত্রাস মোকাবেলায় ৫ পদক্ষেপ

আর্টিকেলটি নিয়ে মন্তব্য করুন

কোন কিছু খুঁজছেন?

ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখান

দেশের খবর

Plugin Install : Widget Tab Post needs JNews - View Counter to be installed
  • আলোচিত
  • মন্তব্যসমূহ
  • সর্বশেষ
গানে, কবিতায় অনন্য জাবির আমির

গানে, কবিতায় অনন্য জাবির আমির

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে একজনের কারাদণ্ড

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে একজনের কারাদণ্ড

ধর্মের নামে সন্ত্রাস মোকাবেলায় ৫ পদক্ষেপ

ধর্মের নামে সন্ত্রাস মোকাবেলায় ৫ পদক্ষেপ

নিউ মিডিয়া উপাখ্যান: যা জানতে হবে

নিউ মিডিয়া উপাখ্যান: যা জানতে হবে

পুরনো সংবাদ

 ১২
৩৪৫৬৭৮৯
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১ 
  • স্যোশাল মিডিয়াতে ফলো করুন

© প্রাচ্যনিউজ ২০১৫ – ২০২০
সম্পাদক ও প্রকাশক : শেখ আদনান ফাহাদ ।
১৩৪২/২ পূর্ব শেওড়াপাড়া (৫ম তলা) | রানওয়ে রোড, কাফরুল, ঢাকা – ১২০৮ । ফোন : +৮৮০১৫৩৩৩৫৪৮২৭ (টেকনিক্যাল) |
ইমেইল: [email protected] (এডিটোরিয়াল), [email protected] (টেকনিক্যাল)

© ২০২০ প্রাচ্যনিউজ স্বত্ত্ব সংরক্ষিত- ওয়েবসাইট নির্মাণ কোডসপাজল

  • বিজ্ঞাপন
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • যোগাযোগ
ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখান
  • প্রথমপাতা
  • বাংলাদেশ
    • ক্যাম্পাস
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • প্রজন্ম
    • দেশের পণ্য
    • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
    • শিল্প-অর্থনীতি
  • প্রতিবেশি
    • ভারত
    • মায়ানমার
    • নেপাল
    • ভুটান
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • আন্তর্জাতিক
    • পূর্ব-পশ্চিম
    • অষ্ট্রেলিয়া
    • আফগানিস্তান
    • আমেরিকা
    • আফ্রিকা
    • ইউরোপ
  • রাজনীতি
  • মুক্তমত
    • সম্পাদকীয়
  • বিনোদন
  • খেলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • দেশীয় খেলা

© ২০২০ প্রাচ্যনিউজ স্বত্ত্ব সংরক্ষিত- ওয়েবসাইট নির্মাণ কোডসপাজল