প্রতি বছর ধর্মের বিবেচনায় দেশের নাগরিকদের একটা অংশ হামলা ও সন্ত্রাসের শিকার হয়। রংপুরেই শেষ নয়। এটা সামনেও হবে না, তা বলা যায় না। দেশে ভবিষ্যতে সাম্প্রদায়িক হামলা মোকাবেলায় এই ব্যবস্থা গুলো গ্রহণ করতে পারলে আশা করা যায়, এর চিরস্থায়ী সমাধান হবে।
০১. যে বা যারা সাম্প্রদায়িক হামলা বা ধর্মীয় সন্ত্রাসের সাথে জড়িত থাকবে তার/তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার/পরিবার গুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া। এ কাজের জন্য আইন তৈরি ও কমিশন গঠন।
০২. এ ধরণের মামলার বিচারের জন্য বিশেষ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান ও শাস্তি কার্যকর করা।
০৩. ব্ল্যাসফেমি আইনের আদলে তৈরি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৩১ ধারা পুনর্বিন্যস্ত ও স্পেসিফিক করা। অতীতে দেখা গিয়েছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই এমন মানুষের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বা আইডি হ্যাক করে সেখান থেকে পোস্ট দিয়ে হামলার ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল কনটেন্টের ব্যাপারে বিধিনিষেধে সংশোধন আনা। সহনশীলতা, ভিন্নমতের বিষয় গুলো স্পষ্ট করা।
০৪. দেশে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটানো।
০৫. রাজনৈতিক দল ও সরকারের ধর্মীয় গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ও মেরুকরণের পরিহার করা। এ বিষয়ে, সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের বাস্তবায়ন।
এই পাঁচটি পদক্ষেপ এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিতে পারে। ধর্মের নামে সন্ত্রাস, রুখে দাড়াও বাংলাদেশ।
লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আর্টিকেলটি নিয়ে মন্তব্য করুন