জঙ্গী মুফতি হান্নানের ফাঁসিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল করেছে। বুধবার রাত ১০ টায় ফাঁসি কার্যকর করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকটি হলে আনন্দ মিছিল হয়। মিছিলে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী শ্লোগান দেয়া হয়। এ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর দুই সহকারী শরীফ শাহেদুল বিপুল এবং দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি ১২ এপ্রিল বুধবার রাতে কার্যকর করা হয়।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বুধবার রাত ১০টার দিকে মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসিও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মিজানুর রহমান কারাফটকে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, রাত ১০টায় মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে পৌঁছালে রাতেই প্রতিটি হলের ছাত্রলীগের ইউনিট আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলে অংশ নেয়া আল বেরুনী হলের একজন ছাত্রলীগ কর্মী জামশেদ আলম বলেন, আজ আবার প্রমানিত হলো বাংলার ১৬কোটি জনগন জঙ্গীবাদের বিপক্ষে। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার দুরভিসন্ধি বাংলার জনগন রুখে দিবে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
জাবিতে আনন্দ মিছিলের ব্যাপারে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা প্রাচ্যনিউজকে বলেন, এই ফাঁসি প্রমাণ করে বাংলার মাটিতে কোন জঙ্গী, সন্ত্রাসীর ঠাঁই নাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সারাক্ষণ সজাগ দৃষ্টি রাখবে। তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ জঙ্গীদের ফাঁসিতে আমি ভীষণ আনন্দিত। কাল কর্মীদের মিষ্টিমুখ করাবো।
আর্টিকেলটি নিয়ে মন্তব্য করুন